আজ থেকে সারাদেশেই শুরু হচ্ছে করোনার টিকাদান কর্মযজ্ঞ। এরই মধ্য দিয়ে করোনায় বিপর্যস্ত গোটা বিশ্বে গুটি কয়েক দেশের সঙ্গে করোনা নির্মূলে শামিল হলো বাংলাদেশ।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে করোনার টিকা নিয়েছেন বিচারপতি জিনাত আরা হক ও বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম, ঢাবির উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ সামাদ। এর পর সকাল দশটা থেকে সারাদেশের সরকারি হাসপাতাল ও জেলা-উপজেলাগুলোতে শুরু হয়েছে একযোগে টিকা কার্যক্রম।
টিকা প্রয়োগের প্রথম দিন ১ হাজার ১৫টি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের ২ হাজার ৪০০টি দল টিকা দেয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। প্রতি দলে ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ২ জন স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে ৪ জন সদস্য থাকবেন। শনিবার এ তথ্য জানায় স্বাস্থ অধিদপ্তর।
জানা গেছে, প্রত্যেকটি দলের স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বোচ্চ ১৫০ জনকে টিকা দিতে পারবেন। সেই হিসেবে প্রথম দিন সব মিলিয়ে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৪’শ জনকে টিকা দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের। তবে এ সংখ্যা কম বেশি হতে পারে।
স্বাস্থ্য টিকার জন্য নিবন্ধন করা না থাকলেও কেন্দ্র থেকে কাউকে ফেরত পাঠানো হবে না। কেন্দ্রেই নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে টিকা নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে।
সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এর পর পরে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক করোনার টিকা নেন। সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় টিকা নেবেন। এছাড়া বিকেল স্বস্ত্রীক টিকা নেবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
এ জাতীয় আরো খবর..