বাংলাদেশের ঈর্ষনীয় জিডিপি
বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে বেশ কিছু বছর আগে থেকেই। বিশেষ করে করোনাকালীন
সময়ে যখন বিশ্ব অর্থনীতিতে চরম মন্দা দেখা দেয়, শক্তিশালী অর্থনৈতিক রাষ্ট্রসমূহ
যখন হিমশিম খেতে থাকে তখন বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির রেকর্ড সকলের নজরে পড়ে। গোটা বিশ্বে যখন জিডিপি নিম্নমুখী
ছিলো তখন উল্টো বাংলাদেশ জিডিপিতে একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছে। বিশ্বব্যাংক থেকে
শুরু করে সর্বত্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমনকি ২০২১
সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দেয় যে, মোট দেশজ উৎপাদন
(জিডিপি) বিবেচনায় বাংলাদেশ ২০২৫ সাল নাগাদ সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক ও হংকংয়ের মতো উন্নত অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে যাবে! এতোসব অর্জনের মাঝে
এবার নতুন এক বিশেষণ যুক্ত হলো, আসলো এক খুশির সংবাদ। বর্তমানে মোট দেশজ উৎপাদনের
(জিডিপি) আকারে বাংলাদেশকে বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে ঘোষণা করা
হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া
থেকে শীর্ষ ৫০ এ কেবল দুই প্রতিবেশী ভারত-বাংলাদেশ স্থান করে নিয়েছে। বৈশ্বিক তালিকায়
ভারতের অবস্থান ছয়ে। সম্প্রতি কানাডাভিত্তিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল
ক্যাপিটালিস্ট আইএমএফের তথ্যের আলোকে করা জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ১০৪ ট্রিলিয়ন
ডলারের বৈশ্বিক জিডিপির ভিত্তিতে ১৯১ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতির এ অবস্থান উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৩৯৭ বিলিয়ন বা ৩৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। দক্ষিণ
এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ কিভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এতো ভালো করছে তা এখন
সর্বত্র আলোচনার বিষয়। এই দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ ঠিক কোন পলিসির মাধ্যমে অর্থনীতিতে
দক্ষিণ এশিয়াকে নেতৃত্ব দিচ্ছে তা এখন গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে!
বাংলাদেশ ও ভারতের
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই মূলত দুই প্রতিবেশী দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী ভিতের
উপর দাঁড় করিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-ভারতের
সম্পর্ক ভ্রাতৃত্বসুলভ বন্ধনের ভিত্তিতে আবর্তিত। সার্বভৌমত্ব, সমতা ও সকল প্রকার
রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বোঝাপড়াতে দুই দেশ সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ সময় পাড় করছে। আর
এর সুফল পাচ্ছে দুই দেশের নাগরিক। দুই দেশের সার্বিক সংযোগ, বিদ্যুৎ
ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা, শিক্ষা ও
সাংস্কৃতিক বিনিময়, সাইবার স্পেস, প্রতিরক্ষা
ও ইন্টেলিজেন্সসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দুই দেশের মধ্যে
রাজনৈতিক ঐকমত্য বিরাজমান। এ ঐকমত্যের ভিত্তিতে উভয়ই বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয়
সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। আর এটিই দুই দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে
সহায়তা করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে বড় অবদান আছে ভারতের
প্রধানমন্ত্রী মোদি সরকার কর্তৃক গৃহীত ‘নেইবারহুড
ফার্স্ট পলিসি’র। এ নীতির ভিত্তিতে দুই দেশের
মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উন্নয়ন এক নতুন গতি পেয়েছে।
সুকুমার রায়ের ‘হযবরল’ গল্পে
কাকটি যে হিসাব দিয়েছিল তাতে মাত্র দেড় ঘণ্টায় কলকাতা থেকে তিব্বত পৌঁছে যাওয়া যায়।
‘কলকাতা, রানাঘাট, ডায়মন্ড হারবার, তিব্বত।
ব্যাস!’ এমন আরো অনেক গল্প আমরা
লোকমুখে শুনে বড় হয়েছি। এই যেমন, এমন একদিন আসবে যখন কেউ দিল্লিতে সকালের নাশতা, কলকাতায় দুপুরের খাবার এবং ঢাকায় রাতের খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারবে! সে
তো গল্পের হিসেব। তবে এসব গল্প এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে দুই দেশের সংযোগে অভূতপূর্ব
উন্নয়নের কারণে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সাথে সাথেই কলকাতা থেকে ঢাকার দূরত্ব দেড়শো
কিলোমিটার কমেছে! আগে এপার বাংলার রাজধানী থেকে ওপার বাংলার রাজধানীতে পৌঁছতে ৪০০
কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে হত। জুন মাসের ২৫ তারিখ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এখন ঢাকা
থেকে কলকাতা ২৫০ কিলোমিটার গেলেই চলবে। ২০২৩ সালে পদ্মার উপর রেল সংযোগ চললে মাত্র
সাড়ে তিন ঘন্টায় কলকাতা থেকে ঢাকা আসা যাবে। এই বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে
ও ভারতের মধ্যে সংযোগ বদলে দিচ্ছে। দূরত্ব, সময় কমিয়েছে। পণ্য
পরিবহন ও মানুষের যাতায়াতের ব্যয় হ্রাস করেছে। আশা করা হচ্ছে এই সেতু বাংলাদেশের জিডিপি আরো ১-২ শতাংশ বাড়াবে।
আবার রেল সংযোগের অবকাঠামো উন্নয়নের অগ্রগতি কয়েক বছরের
মধ্যেই বাস্তবে দৃশ্যমান হবে, বিশেষ করে যখন আখাউড়া-আগরতলা
মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট লিংক অপারেশনাল হবে। ২০২০
সালের ডিসেম্বরের শীর্ষ বৈঠকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উত্তরাংশের
হলদিবাড়ী এবং পশ্চিমবঙ্গের চিলাহাটির মধ্যে পঞ্চম রেল সংযোগ উদ্বোধন করেছেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ব্রিটিশ আমলের আংশিক রেল সংযোগ পুনরায় স্থাপন করা হয়, পুনরুদ্ধার করা হয়। ঢাকা-কলকাতার মধ্যে সরাসরি প্রথম রেলসেবা মৈত্রী
এক্সপ্রেস চালু হয় ২০০৮ সালের এপ্রিলে এবং খুলনা ও কলকাতার মধ্যে বাঁধন এক্সপ্রেস
চালু হয় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। প্রয়োজনীয় গেজ অ্যালাইনমেন্টের পর পেট্রাপোল-বেনাপোল,
গেদে-দর্শনা, সিঙ্গাবাদ-রোহানপুর ও
রাধিকাপুর-বিরলে আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগস্থল তৈরি হয়েছে। আরো কিছু আন্তঃসীমান্ত
রেল সংযোগস্থল আছে, যা পুনরুদ্ধার করা হবে। যা পণ্য, কনটেইনার ও যাত্রী পরিবহন সহজতর করবে। বর্তমানে বাংলা ভাগপূর্ব রেল সংযোগ
পুনরুদ্ধারে সম্মত দ্বিপক্ষীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেল সংযোগের কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে। তাই
গল্পে যেটি বলা আছে তা বাস্তবে রূপ নিতে বেশি সময় লাগবে না। সেদিন খুব বেশি দূরে
নয়, যখন দিল্লি থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন ঢাকায় আসবে। যাত্রা বা
প্রস্থানস্থলে অভিবাসন ও কাস্টমস প্রক্রিয়া শেষে দিল্লি থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে
দিল্লিতে দ্রুতগতির যাত্রীবাহী ট্রেন সুবিধা চালু করা অবাস্তব কাল্পনিক কোনো বিষয়
নয়। এটি সম্ভব, যদি আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা-দোলাচল
কাটাতে দুই দেশের সরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখায়। আর এই সদিচ্ছা যে দুই দেশের
সরকারপ্রধানদের মাঝে আছে তা তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দিকে দৃষ্টি দিলেই বুঝা
যায়।
নৌপথেও দুই দেশ আগের চাইতে
সুদৃঢ় অবস্থানে আছে। দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদী এবং এসব নদী যেখানে
যেখানে নাব্যযোগ্য, সেখানে প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার
ট্রেড অ্যান্ড ট্রানজিট ট্রিটির (পিআইডব্লিউটিটি) অধীনে নদীভিত্তিক সংযোগ সৃষ্টিতে
সহায়তা করবে। চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে কলকাতা থেকে আগরতলা পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট এবং
তার সঙ্গে সোনামুড়া-দাউদকানি আরেকটি নৌপথ পণ্য বাণিজ্য সহজতর করবে। বিবিআইএন
(বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল) মোটর
ভেহিকলস এগ্রিমেন্ট চালু করার চূড়ান্ত প্রক্রিয়ায় অপেক্ষমাণ। এটা বাস্তবায়ন হলে
উল্লিখিত দেশগুলোর মধ্যে অনায়াসে যান চলাচলে সাহায্য করবে। অন্য কিছু সংযোগ
প্রকল্প পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে হিলি
(পশ্চিমবঙ্গ) ও মাহেন্দ্রগঞ্জের (মেঘালয়) মধ্যে সংযোগ স্থাপন।
আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস যেকোন
রাষ্ট্রের উন্নয়নের পথে চরম বাধা। দুই দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে জিরো
টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে তা অনেক প্রশংসনীয়। ভারতের অনেক সন্ত্রাসী বাংলাদেশে
পালিয়ে ছিলো, তাদেরকে গ্রেফতার করে ভারত সরকারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
তেমনি বাংলাদেশের অনেক সন্ত্রাসীকেও ভারত সরকার আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। সন্ত্রাস
ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন
বাংলাদেশ সরকার এবং খুব দ্রুতই বিএনপি আমলের ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে নিরাপদ
অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সন্ত্রাস দমনে পুরো বিশ্বের রোল
মডেল হয়ে গিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের ব্যাপকতা যেখানে চরম আকার ধারণ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বিশ্বের পরম শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যেখানে সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ
হচ্ছে সেখানে ভৌগলিক অবস্থানে সবচাইতে ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে
একের পর এক সফল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আর সেকারণেই জঙ্গিদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম
কোন বাজে প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতে ফেলতে পারছে না। ভারতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
অপরদিকে সন্ত্রাসের রাজত্বে পরিণত হওয়া পাকিস্তান জিডিপিসহ সর্বদিকেই নিম্নমুখী
অবস্থানে আছে। আর তাই আজ যখন বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ ৫০ রাষ্ট্রের তালিকা করা হলো
সেখানে দক্ষিণ এশিয়া থেকে কেবল ভারত বাংলাদেশ স্থান পেয়েছে পাকিস্তান না!
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ২০১০ সাল থেকে নতুন উচ্চতায় গিয়েছে। ২০১০ সালের সমঝোতা স্মারকের অধীনে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাংলাদেশ-ভারত
প্রথম বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্র, এইচভিডিসি প্রথম ব্লক নির্মাণের
উদ্যোগ গৃহীত হয়। ২০১৩ সালের ৫
অক্টোবর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং ‘বাংলাদেশ-ভারত
প্রথম বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্র’ উদ্বোধন করেন।
ভেড়ামারায় স্থাপিত এইচভিডিসির প্রথম ব্লকের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু
হয়। বর্তমানে ওই ৫০০ মেগাওয়াট ছাড়াও ত্রিপুরা থেকে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি
হচ্ছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ এই মোট ৬৬০ মেগাওয়াট আমদানী করছিলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ(ভেড়ামারা)-ভারত(বহরামপুর)
গ্রীড আন্ত সংযোগের ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভারত থেকে আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার
উদ্দেশ্যে এইচভিডিসি দ্বিতীয় ব্লক স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে।
অর্থাৎ ভারত থেকে বর্তমানে মোট আমদানিকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ ১,১৬০ মেগাওয়াট। এই
বিদ্যুৎ আমদানির ফলে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশের শিল্প এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে সরকার, ফলশ্রুতিতে
দ্রুত শিল্পায়ন ঘটেছে এবং আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। এছাড়া নেপাল ও
ভুটানের জলবিদ্যুৎ আমদানীর ক্ষেত্রে ভারত সহায়তা করছে বাংলাদেশকে। আবার মেঘনাঘাট ও
রামপালেও ভারতের প্রত্যক্ষ সহায়তা বিদ্যমান। মূলত দুই দেশের সোহার্দ্যপূর্ণ
সম্পর্কের কারণেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সেক্টরে সরকার অভূতুপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পেছনে নিয়ামক হিসেবে যে কয়টি বিষয় কাজ করেছে সেখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের একটা সহায়তা ও সহযোগিতামূলক অবস্থান ছিলো। এটা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয় বরং ভারতের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের যে মনোভাব এতে তারাও উপকৃত হয়েছে। এই সহায়তামূলক পলিসিই দুই দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির চালিকাশক্তি হতে ভূমিকা রেখেছে। ভারত-বাংলাদেশের হাত ধরে যে এশিয়ায় নতুন অর্থনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটতে যাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তা কেবল সম্ভব হচ্ছে দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কারণেই।
লেখক- -হাসান ইবনে হামিদ,
রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক।