ফেব্রুয়ারির
শুরুতে বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশের করোনার টিকা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ফাইজার-বায়োএনটেকের এই টিকা নিতে চায় কি না, তা ১৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে
বলেছে কোভ্যাক্স কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে গত ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশসহ কোভ্যাক্স উদ্যোগের ১৯২টি
সদস্যদেশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই টিকা পেতে সদস্যদেশগুলোর জন্য কিছু শর্তও
দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে
বলা হয়েছে, এই টিকা ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে এবং জাতীয় করোনা টিকা
পরিকল্পনায় একাধিক ধরনের টিকা ব্যবহারের ইচ্ছার প্রকাশ থাকতে হবে। এছাড়া ২০২১ সালের
জানুয়ারির মধ্যে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফাইজারের টিকার অনুমোদন করাতে হবে।
তার সঙ্গে ফাইজারের দায়মুক্তির একটি ব্যবস্থা থাকতে হবে। এসব ছাড়াও চিঠিতে আরো বেশকিছু
ব্যাপারে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
তবে
ফাইজারের টিকার জন্য যে ধরনের ‘কোল্ড চেইন’ বা হিম শৃঙ্খল দরকার, তা বাংলাদেশে নেই।
দেশের কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের রেফ্রিজারেটর থাকলেও এসব প্রতিষ্ঠান মূলত ঢাকা
শহরকেন্দ্রিক। তাই এই টিকা আনলে ঢাকা শহরের কিছু মানুষকে দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে টিকা
দেওয়ার ক্ষেত্রে যে ন্যায্যতার কথা বলা হচ্ছে, তা এ ক্ষেত্রে মেনে চলা কঠিন হবে।