মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বর্বর অনেক ঘটনাই বাস্তবতার সকল নির্মমতাকে হার মানায়। ১৯৭১ সালে এমনি এক ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছিলো পিরোজপুরবাসী।
দিনটি ছিল ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১। পিরোজপুরের মেয়ে ভাগীরথী সাহাকে জীবন্ত অবস্থায় গাড়ির সাথে বেঁধে পিরোজপুরের রাস্তায় পাক হানাদার বাহিনী ঘুরিয়েছিলো! পাকিস্তানি সুবেদার সেলিমকে নির্দেশ দেওয়া হয় সবার সামনে ভাগীরথীকে হত্যা করার। এ নির্দেশ পাওয়ার পর দু’জন সিপাহি রশি দিয়ে ভাগীরথীর দুই হাত বেঁধে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। রশির অপর প্রান্ত মোটর সাইকেলের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয় এবং মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পাকা রাস্তায় দড়ি বাঁধা ভাগীরথীকে নিয়ে বর্বর উল্লাসে মাতে পাকবাহিনী ও এদেশীয় দোসররা। পিরোজপুর শহরের পিচঢালা পথে আলপনা এঁকেছিল ভাগীরথীর তাজা রক্ত। মুক্তিযোদ্ধদের সহোযোগিতা করাই ছিলো ভাগীরথীর অপরাধ!
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযদ্ধে জন্মভূমির স্বাধীনতা অর্জনে হানাদারদের বিতাড়িত করতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন পিরোজপুর এক নিভৃত গ্রামের গৃহবধূ ভাগীরথী সাহা। এরকম লাখো ভাগীরথীদের রক্তেই আমাদের আজকের বিজয়। বিজয়ের এই মাসে জানা অজানা এরকম লাখো শহিদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।