×
  • প্রকাশিত : ২০২১-০১-১০
  • ৯১৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা 'ভোট জালিয়াতি' না করার জন্য নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছেন।তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, গায়ের জোরে ভোট করতে পারবেন না, ভোট জালিয়াতি করতে চেষ্টা করবেন না। ভোট জালিয়াতি করলে সে কেন্দ্রে প্রয়োজনে ১০ বার ভোট হবে। 

রোববার সকালে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়ায় নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন কাদের মির্জা। তিনি বলেন, 'আমি নোয়াখালীর ১১ জন দুর্নীতিবাজ নেতার নাম নেত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। আমাকে মেরে ফেললে নেত্রী এদের বিচার করবেন। অস্ত্রের ঝনঝনানি, আকাশে-বাতাসে বারুদের গন্ধ পাচ্ছি, যেকোন সময় আমার জীবনের অবসান হতে পারে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আগামী ১৬ তারিখে আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন।'

তিনি বলেন, নারায়াণগঞ্জের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু টকশোতে বলেছেন, আমার এলাকায় দলের মধ্যে নাকি দুই ভাগ, দলে নাকি আভ্যন্তরীণ কোন্দল আছে, আমি নাকি বিএনপি ও জামায়াতের ভোট পাওয়ার জন্য, ভোটের মাঠ গরম করার জন্য এসব কর্মকাণ্ড করছি। আমি এমপি সাহেবকে বলতে চাই, আমার এলাকায় দলের মধ্যে কোনো ভাগ নেই, অভ্যন্তরীণ কোন্দলও নেই। 

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ওবায়দুল কাদের আমার সাথে নেই, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ আমার সাথে নেই, নোয়াখালী আ.লীগ ও ফেনীর আ.লীগ আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র বানাইছে। ডিসি, এসপি, জেলা নির্বাচন অফিসার আমার সাথে নেই। আমি সত্য কথা বলছি। আপনারা জনগণ আমার সাথে আছেন।

কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্সের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি দাবি করেন, অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নূরের পক্ষ হয়ে একসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটাবিরোধী আন্দোলন করেছেন। হায়রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল, এটা কি আপনাদের রাজনীতি? আজ আমার এখানে পথসভায় যে লোকজন হয়েছে, সারা বাংলাদেশে আপনারা যেখানে জনসভা করবেন, এ পথসভার লোক হবে না। আপনার হলেন সাইনবোর্ড সর্বস্ব দল।

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বচনের সময় সারা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের জয় জয়কার, সেখানে এই সময় বৃহত্তর নোয়াখালীতে ১৩ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পেয়েছে মাত্র ২ আসন। সেই সময় নোয়াখালীতে মেজর (অব.) আবদুল মান্নান নির্বাচন করাতে বিএনপির ভোট ভাগ হয়ে যায়। এ কারণে একরাম চৌধুরী এমপি হয়েছেন। ফেনীর এমপি নিজাম হাজারী নাকি বিএনপির দুর্গ ভেঙেছে, কতটুকু দুর্গ ভেঙেছে দেশবাসী সবই জানে। এদের দুর্নীতির ইতিহাস, হত্যার ইতিহাস, অনিয়মের ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু ভোটে এই দুইজন এমপি নির্বাচিত হলে আমি হিজরত করব। তাদের জামানত থাকবে না। 

তিনি ডিসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের উদ্দেশে বলেন, ডিসি সাহেব আপনার মুখে একরাম চৌধুরী লেখা মাস্ক। আপনি এই মাস্ক লাগাতে পারেন না। আপনি নোয়াখালী জেলার অভিভাবক, আপনি থাকবেন নিরপেক্ষ।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন-কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব আলী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat